ফের বজ্রপাতে মৃত‍্যু : হীড়বাঁধ এর পর তালডাংরা

18th September 2021 11:09 pm বাঁকুড়া
ফের বজ্রপাতে মৃত‍্যু : হীড়বাঁধ এর পর তালডাংরা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ফের বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির ।  মৃত্যু হল এক ব্লক কর্মীর । শনিবার জেলায় মোট বজ্রপাতে মৃত সংখ্যা হয়ে দাঁড়ালো দুই আহতের সংখ্যা হল দুই। 

জেলায় বাজ পড়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে,কখনো মাঠের মধ্যে কর্মস্থলে গিয়ে বা কর্মস্থল ফিরতি পথে বাজ পড়ে মৃত্যুর বলি হচ্ছে একের পর এক। জেলার অন্যান্য দুর্ঘটনা গুলির মত বজ্রপাতে মৃত্যু একটা অধ্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক সরকারি কর্মচারী । সহকর্মী সূত্রে খবর মৃত ব্যক্তির নাম বিপ্লব কর্মকার, বয়স ৩১ ।  তিনি তালডাংরা ব্লক এর একজন কর্মী ছিলেন,বাড়ি বিষ্ণুপুরের অযোধ্যায়।এদিন তালডাংরা থেকে বাইক নিয়ে অফিস থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরতি পথে ঝাটিবাড়ি ও কাঁটাবনির মাঝে বজ্রপাত ঘটে সেখানেই ওনার মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ছুটে আসেন তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুসূয়া রায় এবং তালডাংরা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ মজুমদার।আগামীকাল পোস্টমর্টেমের পরে বিল্পব বাবু দেহ ওনার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।সূত্র মারফত পাওয়া খবর বিপ্লব বাবুর বাড়িতে মা, অসুস্থ বাবা,স্ত্রী এবং দুই সন্তান আছে।পরিবারের একমাত্র রোজকারের মারফৎ ছিলেন ঐ ব্যাক্তি।

জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু কোন নতুন ঘটনা নয়, দিনের পর দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।এই দুর্ঘটনা থেকে এড়িয়ে যাবার উপায় হয়তো কারো জানা নেই।তবুও জনসমাজের কাছে বজ্রপাত থেকে রক্ষা হওয়ার জন্য সরকারের তরফ থেকে কোনোরুপ সচেতনতা যদি গড়ে তোলা যায়,তবে এরম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়তো কম হলেও হতে পারে।

তালডাংরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুসূয়া রায় মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানান তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সে মানবিক প্রকল্প সেই প্রকল্পের অর্থ জাতে শীগ্রই তার পরিবারের লোকজন পায় সেই ব্যবস্থা করবেন বলে জানান ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।